রূপচর্চায় বেসনের উপকারিতা

রূপচর্চায় বেসনের উপকারিতা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বেসন বহু প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

রূপচর্চায়-বেসনের-উপকারিতা

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, তেল নিয়ন্ত্রণ, এবং ব্রণ প্রতিরোধে এর জাদুকরের প্রভাব অসাধারণ হয়েছে প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও এক্সফোলিয়েটের গুন ,যা ত্বককে করে কোমল ও স্বাস্ব্যকর। আজকে এই ব্লগে আমরা রূপচর্চায় বেসন এর ব্যবহার সম্পর্কে জানবো।  

পেজ সূচীপত্রঃ

রূপচর্চায় বেসনের উপকারিতা রয়েছে অনেক।বেসন শুধু রান্নার জন্য ব্যবাহার হয় বিষয়টা এমন না। রান্না ঘরের এই উপাদানটি ত্বকের যত্নেও ভীষন উপকারী। এটী কেবল ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় না,বরং বলিরেখা দূর করতে এবং ব্রন কমাতে সাহায্য করে। এই অপরিহার্য উপাদানটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবের কাজ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জল এবং প্রাণবন্ত করে।

 বেসনের বিভিন্ন উপকারিতা


রোদে পোড়াভাব দূর করেঃ গ্রীষ্মের দিনগুলো রোদে পুড়ে ত্বক কালচে হয়ে যায় ।শুষ্ক ত্বকে ওরা ভাব দূর করতে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে  বেসন লাগান।  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য, ট্যান দূর করতে টক দই এর সাথে মিশানো পেস্ট মুখে লাগান। 

ব্রণের সমস্যা দূর করেঃ তোকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের ফলে তোকে ব্রণ দেখা দেয়।তকে বেসন লাগালে শোষণ ক্ষমতা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
  
শুষ্কত্বকে পুষ্টি জোগায়ঃ বেসন শুষ্কত্বকে আদ্রতা বাড়ায়।দুধের সাথে বেসন মিশিয়ে লাগালে ত্বক আদ্রতা ফিরে পায়।
 
তরুন্য ধরে রাখেঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ কমাতে নিয়মিত বেসন ব্যবহার করুন। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সাস্থ্য ভালো রাখে।


মুখে বেসন মাখলে কি হয় 


মুখে বেসন মাখলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং সমস্ত মহিলাদের জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যায়। বেসন তত্ত্বকে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ, ব্রেক আউট কে প্রতিরোধ করে। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে। আমি ইভেন স্কিনটোনের সমস্যা দূর করে এবং ওপেন পোর্সএর সমস্যা দূর করে।

বেসন মুখের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান মরা চামড়া নিরাময়ের সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্য কর করে তোলে। বেসন ত্বক ফর্সা ও টানটান করতে এবং ত্বকের অবাঞ্চিত লোমসহ মুখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।


মুখে বেসন ব্যবহার করার নিয়ম


মুখে বেসন ব্যবহার করার নিয়ম আমরা জানব নিচের কয়েকটি পয়েন্টের মাধ্যমে। শুধু মুখে বেসন ব্যবহার করা যায় এমন না, বেসন সাথেও আরও অনেক কিছু ব্যবহার করে আমরা রূপচর্চা করতে পারি।
1. হলুদঃ হলুদের মধ্যে আন্টি-ইনফ্লেমেন্টরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। বেসনের সাথে হলুদ মিশে মাখলে ব্রণ, লালচে ভাব , রেশের হাত থেকে মুক্তি পাবে।

2.গোলাপ জলঃ গোলাপ জলের মধ্যে হাইড্রেটিং উপাদান রয়েছে। এটি তোকে পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বেসনের সঙ্গে গোলাপ জল মিশে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন এটি গরমকালে ত্বকের সাথে এনে দেবে।

3.লেবুর রসঃ লেবুর রসের মধ্যে সাইট্রিক এসিড রয়েছে, যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে, এবং মুখের দাগ সব দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণ প্রবণ ত্বকের উপর বেসন ও লেবুর রসের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

4.টক দইঃ টক দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। বেসনের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ত্বকের অস্বস্তি কমাবে।

5.অ্যালোভেরা জেলঃ এলোভেরা জেল এর মশ্চারাইজিং ও হিলিং উপাদানের জন্য পরিচিত। বেসন সঙ্গে এলোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে মাখলে জালা ভাব, লালচে ভাব থেকে মুক্তি পাবে। এটি ত্বককে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেস প্যাকঃ


তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসে তৈলাক্ত ভাব থাকলে স্কিন নষ্ট হয়ে যায় এবং ফেঁসে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তৈলাক্ত ফেস এর জন্য বেসনের ফেসপ্যাক এর উপকরন

1. ১/২ টেবিল চামচ বেসন,১ টেবিল চামচ মধু এবং সামান্য জল মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
2. এই পেজটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে ভালোভাবে আলতো ভাবে লাগান।
3. ধোয়ার আগে ২০ মিনিট বা একটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবারের মাতো লাগান।

রূপচর্চায়-বেসনের-উপকারিতা

সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে বেসনের ফেস কার্যকারী ভূমিকা পালন করে তবে সুস্থতাকে বেসনের ফেসপ্যাক ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। কারণ বেসন মুখের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ কে নিয়ন্ত্রণ করে। উপাদান বেশি উপকারী হল রুক্ষ তাকে আরো বেশি সুস্থ করে তুলতে পারে। আপনার ত্বক যদি রুক্ষ প্রকৃতির হয়, তাহলে এ বেসনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক


বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। হলুদে থাকা সকল উপাদান যেগুলো আমাদের ত্বককে মসৃণ  এবং উজ্জ্বল করে। ২ চামচ বেসন,১/২ চামচ হলুদ,১/২ লেবুর রস এবং অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার এই ফেসপ্যাক ত্বকের উপর লাগান এবং শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের উপর প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করবে। তোকে ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করা হলুদ এবং নরম ও তুলতুলে স্কিন তৈরি করে। ব্রণের প্রবণতাও হ্রাস পায়। মুখের কালো দাগ দূর করে । এতে ত্বক প্রাণবন্ত হয়।

বেসন ও হলুদের ব্যবহার 


ধাপ 1ঃ দুই চামচ বেসন এবং সামান্য কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
ধাপ 2ঃ আপনার সুস্থতাকে এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন এবং ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। 
ধাপ3ঃ হালকা মিশ্রণটি শুকিয়ে আসার পর আলতো হাতে স্ক্রাব করুন এবং হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।আপনার ত্বক অবিলম্বে উজ্জ্বল এবং আরো পুষ্টিকর বোধ করবে।  

গরমে সবচেয়ে  অস্বস্তি  বিষয় হলো গরমে ঘাম এবং তৈলাক্ত ত্বক।ত্বকের তৈলাক্ত  তো ভাব বেড়ে যায় একটু গরম পড়লেই। বার বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুইলেও যেন তেলতেলে ভাব থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। আরে তাই লাগতো ভাবের জন্য লোমকূপে ময়লা এবং ঘাম জমে থাকে। আরে জমে থাকা ময়লা থেকেই ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা শুরু হয়। এই সমস্যার হাত থেকে নিষ্পত্তি পাওয়ার জন্য বেসনের ব্যবহার মুখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এবং বেসন মুখ পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে ,এবং সকল ময়লা দূর করে মুখ উজ্জ্বল করে তোলে। 

বেসন ও লেবুর ফেসপ্যাক


এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ বেসন, পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন। পুরো মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং হালকা শুকনো হয়ে আসলে হালকা স্ক্রাব করে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এই ব্যক্তি ব্যবহারের ফলে ত্বকের ট্যান  ভাব দূর হবে। 

রোদে পুড়ে সকলেরই টক কালো হয়ে যায়। পূড়া ভাব তুলতে পারে বেসন, লেবু এই ঘরোয়া প্যাক। এই ঘরোয়া প্যাক  যেকোনো ত্বকের জন্যই উপকারী। ত্বকের পোড়া ভাব কমিয়ে উজ্জ্বল রং ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মোলায়েম ও চকচকে ভাবো ধরে রাখতে সাহায্য করে এই প্যাকটি।

বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক 


এক চা চামচ বেসনের সঙ্গে কিছুটা হলুদ গুঁড়া এবং এক চামচ টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর হালকা আদ্রতা বজায় রাখতে ২ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ১চা চামচ মধু এবং ১/২ চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং হালকা শুকিয়ে আসলে ধুয়ে ফেলুন।

আপনার যদি শুষ্ক  হয় তবে নিয়মিমধুর সাথে বেসন ব্যবহার করুন। মুখ এবং ত্বকের জন্য বেসন বা বেসনের ব্যবহার করা একটি প্রাচীন কৌশল, কিন্তু আমরা  এখনো ব্যবহার করি। বেসন ও মধুরে মিশ্রণটি মুখে লাগানোর উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ সমস্যা দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল এবং দ্বিগুণ মসৃণ করতে সাহায্য করে। 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেসন

মুখে অতিরিক্ত তেল খরন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে বেসন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বেসন নিন। তার সঙ্গে টক দই দুধ মেশান।ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।  খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যাতে পাতলা না হয়ে যায়। 

রূপচর্চায়-বেসনের-উপকারিতা

দুধের ল্যাকটিক এসিড ত্বকে এক্সফোলিয়েটর কাজ করে। টেন তুলতে সাহায্য করে। রেসপ্যাক তৈরি করার পর মুখে অফিস থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ভালোভাবে লাগানোর পরে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, এবং শুকিয়ে গেলে আলতো ভাবে মেসেজ করে মুখ থেকে তুলে নিতে হবে। এই ব্যক্তি ব্যবহারের ফলে ত্বক জেল্লাদার এবং আরো বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। ত্বকের তৈলাক তোতা ভাব কমিয়ে মসৃণ্যতা আনবে এবং ত্বকের সুস্থ রাখবে। 

প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কাজ করে


প্রাকৃতিক টু ইন্ডিয়া হিসেবেও কাজ করে বেসন। একাধিক প্রাচীন বই তে এটা উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেসন ক্লিনজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। তাই বাজার চলতে ফেসওয়াস এর পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করতে পারেন। বেসন মুখের সমস্ত ময়লা দূর করে। পাশাপাশি ত্বকের সকল টক্সিন বের করে দেয়।স্বাভাবিকভাবে ত্বক তখন শ্বাস নিতে পারে, রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। তাই জেল্লা হয়  দেখার মত। 

বেসনে রয়েছে অসাধারণ ব্লিচিং প্রপার্টি। তাই বেসন যে মুখের জেল্লা ধরে রাখতে কার্যকারী ভূমিকা  পালন করে,সে কথা বলাই বাহুল্য। এছাড়া এক্সপোলিয়েন্ট হিসেবেও কাজ করে বেসন। অর্থাৎ আপনার মুখের মৃত কোষ সরিয়ে প্রাকৃতিক জেল্লা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আপনার ত্বক রাখে টান টান। 

মুখে বেসন মাখার অপকারিতা


মুখে বেসন মাখার অপকারিতা জানা আমাদের জন্য প্রয়োজন।ত্বকে পি এইচ ভারসাম্য নষ্ট হলে্নাননা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।বেসনে আছে অ্যালকালাইজিং উপাদান, যা আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করে।

বেসন ত্বকের জন্য উপকারী এবং নানা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তবে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে এ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো। না হলে তোকে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। 

ত্বক শুষ্ক হলে বেসন ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এতে ত্বক শুষ্ক  হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের জন্য বেসন ব্যবহার করা ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। বেসনের যেকোনো ফেসপ্যাক মুখে ৫-১০ মিনিট এর বেশি রাখবেন না। ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে এবং ত্বক ক্ষতি হতে পারে । 

মন্তব্য

বেসন শুধু যে রান্নাঘর উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয় বিষয়টা এমন না। বেসন রূপচর্চার জন্য অনেক ভালো একটি অবদান বহন করে। প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার শোনা যায়। বেসন ত্বকের জন্য অনেক উপকারী বেসনের ব্যবহারও অনেক সহজলভ্য তবে মাথায় রাখতে হবে বেসনের  যেমন কিছু উপকারি দিক আছে তেমন অপকারি দিক ও আছে,এই দিক গুলো মাথায় রেখে সবাই এই উপাদানটি ব্যবহার করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রেন্ড এ টু জেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url